জহুরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার:

ঈদকে কেন্দ্র করে সিরাজগঞ্জসহ বেলকুচিতে শেষ মুহুর্তের কেনাকাটা জমে উঠেছে। ক্রেতাদের উপচেপরা ভিড়। পছন্দের জিনিসপত্র কিনতে মার্কেট থেকে মার্কেটে ছুটছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ। ফলে প্রতিটি মার্কেট ও বিপণি বিতানে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। এবার সালোয়ার, কামিজ, থ্রিপিচ ছাড়াও লেহেঙ্গা গাড়ারার চাহিদা বেশি বলে জানা গেছে। লেহেঙ্গা ও গাড়ারা প্রতি পিচ ১৫শ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শিশু পোশাকের চাহিদাও বেশি বলে জানা যায়।

সরজমিনে উপজেলা সদরের জলসা মার্কেট, এ এ প্লাজা, আলতাব প্লাজা, মরিয়ম প্লাজা, পল্লী মেলা, রাজ্জাক ক্লথ, বিগ বাজার, এ্যামব্রেলা, ইয়োলো ফ্যাসন, উৎসব, হকার্স মার্কেটসহ বিভিন্ন ছোট-বড় মার্কেটে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। প্রতিবারের মতো এবারো বেশির ভাগ মার্কেট ও বিপণি বিতানে মহিলা ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশি থাকলেও অনেকে আবার পরিবার-পরিজন এমনকি শিশুদের সঙ্গে নিয়েও কেনাকাটা করতে আসছেন।

জলসা মার্কেটের কেনাকাটা করতে আসা একাধিক ক্রেতা জানান, ঈদে ঘনিয়ে এসেছে। তাই  পরিবারসহ নিজেদের পোশাক কেনার জন্য এসেছি। নিত্যনতুন কাপড়ের ব্যাপক মজুদ থাকলেও দাম একটু বেশি বলে মনে হয়। রেডিমেড কাপড়ের দোকান অনেক, বিভিন্ন অভিজাত কাপড়ের দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড় পরিলক্ষিত হয়। বিশেষ করে ইফতারের পরে এই ভিড় ব্যাপক আকার ধারণ করে।

আলতাব প্লাজায় আসা ক্রেতা আলামির ও আসমা আক্তার জানান, ঈদ সামনে রেখে ছেলেমেয়ের চাহিদা মোতাবেক কাপড় কেনার জন্য এসেছি। এবার ছেলেমেয়েদের বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক থাকলেও দাম একটু বেশি।

জলসা মার্কেটের পল্লী মেলার পরিচারক জহির সরকার জানান, ক্রেতা আছে বিক্রিও হচ্ছে। তবে বঙ্গ বাজারে অগ্নিকান্ডের কারনে মালামাল ঠিকমত পাচ্ছিনা। এরজন্য দাম একটু বেশি।

একই মার্কেটের রাজ্জাক ক্লথের পরিচারক সালাম সরকার জানান, আমাদের এখানে নিত্যনতুন পোশাকের ব্যাপক মজুদ রয়েছে। বিক্রিও অনেক ভালো। এতে করে করোনাকালীন ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারব।

ঈদ সামনে নিয়ে পোশাকসহ বিভিন্ন দ্রব্যসামগ্রীর ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক আনন্দ উল্লাসের সৃষ্টি হয়েছে। নিত্যদিনই ফুটপাতের দোকান থেকে বড় বড় দোকানে ক্রেতাদের ব্যাপক ভিড় পরিলক্ষিত হয়। ধনী গরিব সব শ্রেণির মানুষ ঈদ উপলক্ষে সামর্থ্য অনুযায়ী কেনাকাটা করতে এ বছর আগে থেকেই দোকানগুলোতে ভিড় করছে ক্রতারা।